Politics

নগর আ’লীগের সম্মেলন
আলোচনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১ মার্চ। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে যেসব নেতা আলোচনায় আছেন তাদের মধ্যে তরুণ নেতা শফিকুজ্জামান শফিক অন্যতম। আওয়ামী পরিবারের সন্তান শফিক রাজশাহীর একজন ক্লিন ইমেজের নেতা। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সে সময় তিনি সুসংগঠিত করেছেন দলকে।
শফিকুজ্জামান শফিক নগরীর ল²ীপুর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা আলতাফ হোসেন ১৯৫৪ সালে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের প্রথম কমিটির সদস্য ছিলেন। বড় ভাই আসাদুজ্জামান আসাদ জেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া মেজো ভাই কামরুজ্জামান বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আরেক ভাই নুরুজ্জামান টুকু বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর ছোট ভাই রফিকুজ্জামান রফিক এখন জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক। শফিকুজ্জামান শফিক এখনও জেলা ও নগর আওয়ামী লীগ এবং এর সব সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমান জনপ্রিয়।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে শফিকুজ্জামান শফিক ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সদস্য ছিলেন। আর ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য। সদস্য হিসেবে দক্ষতা রাখায় হয়েছিলেন সভাপতি। তার আমলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মূল্যায়নে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল হিসেবে সারাদেশের মধ্যে সপ্তম স্থান অর্জন করে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ। শফিকের হাত ধরেই রাজশাহীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ সক্রিয় হয়েছে। গঠিত হয়েছে কমিটি। বর্তমানে তিনি রাজশাহীর জয় বাংলা পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জড়িত আছেন সামাজিক এবং রাজনৈতিক নানা কর্মকান্ডে।
শফিক বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে এনে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। তাই তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হলে বঙ্গবন্ধুকন্যার নির্দেশনা মোতাবেক দলের জন্য কাজ করে যাবেন। তিনি আরো বলেন, ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর দিন উত্তরাঞ্চলের মধ্যে আমরাই প্রথম রাজশাহীতে প্রতিবাদ মিছিল করি। বুকে সাহস নিয়ে সেদিন রাস্তায় নেমেছিলাম। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে সেই সাহস এবং সততা নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাব।