Miscellineous

রাজশাহীতে আওয়ামীলীগ পরিবারে মিলন মেলা শুরু । রেজিষ্টেশনের শেষ তারিখ ২২ শে জানুয়ারি ২০২০।
বিশাল কর্মক্ষেত্র ডাঃ নুজহাত চৌধুরী।
যশােরেন মালােপাড়ার এক মাটির সনে কমিটির প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছি এ হিসেবে আর তুরিনের আইনজীবী হি পরিচয়ে হিন্দু হওয়ার কারণে অমানবিক আছে কিনা সেটাও যাচাই করছি আমি। রটা গুড়িয়ে যাচ্ছে। এই কি আমার
করার তীব ইচ্ছায় আর না করতে পারার নিস্ফলা হতাশ
এক মাটির ঘরের উঠোনে বসে আছি আমরা চারটি নারী। আমি আর তুরিন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মল গিয়েছি ওদের দুজনের কুটিরে । কিন্তু তা ছাড়াও, আমাদের আরও কিছু বিশেষ দায়িত্ব ছিল । আমার হাজার ন আইনজীবী হিসেবে। আমাদের সামনে দুটি ফুটফুটে কিশোর বসা। পাথরের মত ঠাণ্ডা গলায় বলে চলেছে ধর্মীয় নােৱণে অমানবিক, পাশবিক নির্যাতনের ঘটনাপঞ্জি । পাথরের মত স্তব্ধ হয়ে বসে শুনছি । ডাক্তার হিসেবে কিছু করার
যাচাই করছি আমি। আর ভিতরে দগ্ধ হচ্ছি, পুড়ছি ক্রোধে । ভিতরটা ভেঙে-চুড়ে যাচ্ছে । কষ্টে, অপমানে, দুঃখে অন্ত যাফে। এই কি আমার বাবার রক্তে পাওয়া পবিত্র স্বদেশ?
সতার কথা শুনে বড় হয়েছি। বার বার স্বদেশের বুকে একই সাম্প্রদায়িক হায়েনার বীভৎস আঁচড়ের খবর পড়েছি। কিছু ৯ ১ায় আর না করতে পারার নিস্ফলা হতাশায় দগ্ধ হয়েছি প্রতিবার। কিন্তু এভাবে এতাে কাছে হাতে হাত রেখে বসবার সুযােগ
o কিছু করার, পাশে দাঁড়াবার সুযােগ পাইনি কখনও। আমাকে এই মানবিক কাজ করার সুযােগ করে দিয়েছে একাত্তরের ঘাতক । কমিটি। আবার আমার বাবার রক্তে পাওয়া এই পবিত্র ভূমিতে এমন ঘটনা আর যেন না ঘটে সেই লক্ষ্য তৃণমূল থেকে জাতীয় এর কি বিদেশের মাটিতে কাজ করবার সুযােগও করে দিয়েছে এই সংগঠন। শত শত তরুণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলার আদর্শের
সযােগ করে দিয়েছে এই সংগঠন। সর্বোপরি আমার নিজের বিবেকের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সুযােগ করে দিয়েছে এই প্যাটফর্ম। এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার নাই।
ভযাদ্ধের আদর্শকে বাংলাদেশের বুকে প্রতিষ্ঠিত রাখা ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যদি কেউ কাজ করতে চান তাঁর হাররের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মত প্ল্যাটফর্ম খুব কমই আছে। তাই এর সদস্য হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে কাজ করার সুযােগ - চল আমার জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি। একজন শহীদ সন্তান হিসেবে হৃদয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ নিয়ে বড় হয়েছি। দেখেছি বাবার রক্তে বাঙানাে পতাকা তাঁর খুনীর গাড়িতে, শুনেছি সেই খুনীদের দম্ভোক্তি করে বলতে যে এদেশে কোন যুদ্ধাপরাধ হয়নি, প্রত্যক্ষ করেছি ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানে পরিণত হতে । ছােট কালেই বুঝে নিয়েছিলাম যুদ্ধ আরও বাকী আছে ।
একই সাথে আজন্ম দেখেছি সাহসী মায়ের সংগ্রাম। শুধু টিকে থাকা নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সেই বিরুদ্ধ পরিবেশে টিকিয়ে রাখার জন্য দেখেছি তাঁর নিরন্তর সংগ্রাম। আমার প্রচণ্ড গর্বের একটি জায়গা এই যে, আমার মা সেই মহীয়সী শহীদজায়াদের একজন যিনি ১৯৭২ সালের জানুয়ারী মাসেই যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবীতে সােচ্চার হয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইস্যুটি আজ শুধু আমাদের জাতীয় জীবনের সর্বাধিক আলােচিত বিষয় নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । কিন্তু এসবের বহু আগে, কোন প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবার অনেক আগে কিছু সদ্যবিধবা তরুণী ও তাঁদের সাথে শহীদ পরিবারের কিছু সদস্য যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবী নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। আর আজ বিশ্বে যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদাহরণ বাংলাদেশ!
| সেই তরুণীদের অশ্রুসিক্ত দাবীকে একটি জাতীয় দাবীতে পরিণত করা, একে বাস্তবে পরিণত করার যে দীর্ঘ কণ্টকাকীর্ণ পথ। পরিক্রমা, যে বিশাল কাজ-তা করেছে এই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে এই প্ল্যাটফর্মই ‘মিনি পাকিস্তান' হয়ে যাওয়া সেই বাংলাদেশে দল মত নির্বিশেষে সকলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করেছে। এই কমিটি গঠনের সময় থেকে আজ পর্যন্ত যারা এর সাথে যুক্ত ছিলেন বা আছেন তারা সকলেই আমাদের প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব, সর্বজন শ্রদ্ধেয় - যাদের নাম শুনে শ্রদ্ধায় অবনত হয় এ জাতি আজও। | এমন গর্ব ও অর্জনের নাম একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে টিকিয়ে রাখার কারন কাঠা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি । আর আমার মত কিছু ক্ষুদ্র ব্যক্তির দেশের জন্য, আদর্শের জন্য কিছু করার এক
শাল ক্ষেত্র। যারা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পথে রাখার সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে নিজের রক্ত ঋণ কিছুটা শােধ করতে চান, আশা। কার তারা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ছায়াতলে জড়াে হবেন। “ পাচশ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা জানাই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে । স্মরণকরি এর শ্রদ্ধেয় সদস্যদের যাদের ত্যাগে।
র বিচারের এই অর্জন। আর একই সাথে স্মরণে রাখি সামনের দীর্ঘ পথ । যুদ্ধাপরাধের বিচার এক বিশাল অর্জন কিন্তু 1 নির্মূল হয়নি বাংলার মাটি থেকে। নির্মূল হয়নি তাদের সাম্প্রদায়িক, নষ্ট রাজনীতি । সে লড়াই এখনও বাকী । আজ ২৫।
"" তাই নতুন করে সেই সংগ্রামে একনিষ্ঠ থাকার প্রত্যয়ে দৃঢ় সংকল্প হবাে আমরা এই কামনা করি।
আজ যুদ্ধাপরাধের বিচারের এই অর্জন। আর | ঘাতক দালাল নির্মূল হয়নি বাংলার মাটি | বছর পূর্তির শুভক্ষণে তাই নতুন করে সেই